রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

দিঘলিয়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: শনিবার, অক্টোবর ১১, ২০২৫

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ বছর বয়সী শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দৌলতপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্ডল জুট টেক্সটাইল মিলের কলোনিতে বসবাসকারী এই শিশুটির মরদেহ আজ (১১ অক্টোবর) বিকেলে একটি আলিশান বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নৌবাহিনীর গোয়েন্দা শাখা ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ। নির্মম এই ঘটনায় এলাকায় গভীর শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।

​নিহত জিসান মন্ডল জুট মিলে কর্মরত আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং তারা মিল কলোনি এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর জিসান বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির কোনো সন্ধান মেলেনি।

​মাটির নিচে পুঁতে রাখা ছিল মরদেহ, আটক ১

​গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে নৌবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে দৌলতপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

​পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খালিশপুর থানা পুলিশ মো. আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়সাল (২৫) নামের এক যুবককে আটক করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিশু জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

​পুলিশ আরও জানায়, যে বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে মো. আব্দুল হান্নান শেখ নামের এক যুবক বসবাস করতেন, যার দৌলতপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি মুদি দোকান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার দোকান বন্ধ এবং বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

​উদ্ধারকৃত মরদেহটি বাড়ির এক কোনায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা ছিল। শিশুটির দুই হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

​নৌবাহিনী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

​প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে পরিবার জানিয়েছে, অপহরণকারীরা কোনো মুক্তিপণ দাবি করেনি। ​এই বর্বরোচিত ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

আরো পড়ুন