রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশিত: বুধবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
স্থানীয় পর্যায়ের ছোটখাটো বিরোধ দ্রুত ও স্বল্প খরচে নিষ্পত্তির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের বিচারিক সেবা প্রাপ্তির সুযোগ বাড়াতে ‘গ্রাম আদালত বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার বিষয়ক (আউটরীচ) কার্যক্রম বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় সভা আজ (১৫ অক্টোবর, ২০২৫) খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এর আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প’ এর উদ্যোগে এই সভা আয়োজিত হয়। খুলনা জেলার সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক (উপসচিব) মো: আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বলেন, “গ্রাম আদালত হলো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। ছোট বিরোধগুলো স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি হলে একদিকে যেমন অসহায় বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমে, তেমনি নিম্ন আদালতের মামলার দীর্ঘ জটও হ্রাস পায়। এই আদালতের ক্ষমতা ও এখতিয়ার সম্পর্কে গ্রামীণ জনগণ, বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সকল সরকারি দপ্তর ও এনজিওসমূহকে তাদের নিয়মিত প্রচার কার্যক্রমের সাথে গ্রাম আদালত বিষয়ক তথ্য প্রচারের বিষয়টি যুক্ত করে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আনাম। তিনি গ্রাম আদালতের রায়ের কার্যকর বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত এর খুলনার ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান, ডিডি সমাজসেবা, ডিডি যুব উন্নয়ন, ডিডি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং জেলা তথ্য অফিসার, খুলনা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত এর খুলনার ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পটি কেবল একটি প্রকল্প নয়, এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা যা সারাদেশব্যাপী কার্যকরী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি যেন প্রতিটি ইউনিয়ন প্রতি মাসে ন্যূনতম পাঁচটি মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করে। এই লক্ষ্য অর্জনে এবং গ্রাম আদালতের আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষকে জানাতে সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।”
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন বটিয়াঘাটা উপজেলা সমন্বয়কারী মো: শাহিনুর রহমান এবং তেরখাদা উপজেলা সমন্বয়কারী সাবিনা খাতুন। সভায় উপস্থিত অংশীজনরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে নিজেদের সুচিন্তিত মতামত ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।