সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, অক্টোবর ৭, ২০২৫
দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় এক সাংবাদিকের বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম এস.এম. শামীম, যিনি দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দেয়াড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনি দিঘলিয়া থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বাদশা মিয়া-র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সাংবাদিক এস.এম. শামীমের মামাতো বোন সেলিনা বেগম-এর সঙ্গে তার স্বামী বাদশা মিয়া-র গত কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। এই কলহের জের ধরে গত ৫ অক্টোবর সেলিনা বেগম তার স্বামী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে দিঘলিয়া নৌবাহিনীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। ওই সময় সেলিনা বেগম তার ফুপাতো ভাই সাংবাদিক এস.এম. শামীমকে নিয়ে নৌবাহিনীর কার্যালয়ে যান। কর্মকর্তারা দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সাংবাদিক শামীমকে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। সাংবাদিক শামীম তখন এক সপ্তাহের মধ্যে মীমাংসার আশ্বাস দেন।
মীমাংসার আশ্বাস দেওয়ার মাত্র দুই দিন পর, অর্থাৎ ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, অভিযুক্ত বাদশা মিয়া সাংবাদিক শামীমের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিক শামীমকে লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ‘দেখে নেওয়া হবে’ বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।
সাংবাদিক শামীম জানান, ঘটনার সময় তিনি গোপন ক্যামেরায় বাদশা মিয়ার কথোপকথনের কিছু অংশ রেকর্ড করে রাখেন। ভিডিও প্রমাণের এই অংশটি তিনি ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পরপরই তিনি দিঘলিয়া থানায় বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, একজন গণমাধ্যমকর্মীর বাড়িতে ঢুকে এমন গালিগালাজ ও সরাসরি হুমকির ঘটনায় দিঘলিয়া সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তারা দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।