সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
প্রকাশিত: রবিবার, জুলাই ২৭, ২০২৫
ভোলার চরফ্যাশনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক দাবি করা এক কিশোরী। পাঁচ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই অনশনে বসে আছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্র বলছে, ওই কিশোরী দীর্ঘদিন ধরে ভোলা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলনের সময়ই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এখন বিয়েতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন ওই প্রেমিক।
রোববার (২৭ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি।
কিশোরীর দাবি, প্রেমিক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই অনশনে বসেছেন তিনি। এ দিকে পাঁচ দিন ধরে চলা এই অনশনের কারণে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
কিশোরী জানায়, সে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষা না দেওয়ায় সে অকৃতকার্য। তার দাবি, তার প্রেমিক (কিশোর) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাদের পরিচয়। পরে বন্ধুত্ব ও প্রেমে রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক তন্ময়ের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয়েছে বলেও অভিযোগ কিশোরীর। সে কিছু ছবি দেখিয়েও ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ দেখায়।
তার দাবি, প্রেমিক তন্ময়ের বাবা-মা সুকৌশলে সরিয়ে রেখেছে।
এদিকে বিয়ের দাবিতে অনশনরত তাছিন ইসলামকে অভিযুক্ত তন্ময়ের বাবা-মা অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, হুমকি-ধমকি, চড়-থাপ্পড় ও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় গত ২২ জুলাই চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় সে।
অন্যদিকে, তন্ময়ের মা-বাবা তাদের ছেলে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমাদের ছেলে নির্দোষ। একটি মহলের ইন্ধনে অহেতুক ফাঁসাতে এ ষড়যন্ত্র চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ওই কিশোরী থানায় বা উপজেলায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।