মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫
পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সোহেলকে (৪৫) আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। সোমবার রাতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার ফরেনার্স, পাসপোর্ট আইনসহ একাধিক ধারার মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার রানীতলা থানার পুলিশ হরিরামপুর ঘাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে সোহেলকে আটক করে। রানীতলা থানার ওসি অর্জিত ঘোষের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি পাবনা সদরের কাছারিপাড়া গ্রামে।
পুলিশের ভাষ্য, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল দাবি করেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে তিনি চরম প্রতিহিংসার শিকার। তাঁর ওপর হামলা-নিপীড়ন, ঘরবাড়ি ভাঙচুর এমনকি হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
পুলিশের কাছে সোহেল আরও বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকলে মেরে ফেলা হতো। শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, আমিও নিজের প্রাণ বাঁচাতে সে পথেই এসেছি। অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক আশ্রয়।’
সূত্র জানায়, সোহেলকে গ্রেপ্তারের পর সীমান্তজুড়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। গোয়েন্দা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা হঠাৎ একজন রাজনীতিকের অনুপ্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল সর্বশেষ প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। এলাকায় তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দিতেন। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা জানিয়েছেন, সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও সোহেলের কোনো পদ ছিল না। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক।