রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
প্রকাশিত: বুধবার, জানুয়ারী ২২, ২০২৫
খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বিপিএলের প্লে-অফে এক পা দিয়ে রাখলো ফরচুন বরিশাল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ সংগ্রহ করে বরিশাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ তুলতে পারে খুলনা। আর তাতেই ৭ রানের জয় পায় তামিম ইকবালের দল।
এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশাল। তিন নম্বরে থাকা চিটাগং কিংসের পয়েন্ট ১০, অবশ্য বরিশালের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে আছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
শেষ ওভারে খুলনার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৫ রান। উইকেটে ছিলেন নাঈম শেখ এবং বোসিস্টো। তবে রিপন মণ্ডলের প্রথম বল ডট দিলেও পরের দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে জয়ের আশা জাগায় নাঈম শেখ। কিন্তু ওভারের চতুর্থ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে গালিতে থাকা মালানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষ দুই বল থেকে আসে মাত্র ৫ রান। আর তাতেই ৭ রানের জয় পায় ফরচুন বরিশাল।
১৬৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুলনা টাইগার্সের শুরুটাও ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই ওপেনার ইমরুল কায়েসকে হারায় তারা। ২ বলে কোনও রান না করেই জাহানদাদের বলে আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিরাজকে সাথে নিয়ে ৫৯ রান তুলেন মোহাম্মদ নাঈম। দলীয় ৬৫ রানে মিরাজ ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৩ রান। স্কোরবোর্ডে আর ৯ রান যোগ হতেই অ্যালেক্স রোজের উইকেট হারায় খুলনা। ৮ বলে ৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান রিশাদ হোসাইন।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আফিফকে নিয়ে এগোতে থাকেন নাঈম। ১৮ তম ওভারে জাহানদাদের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন আফিফ হোসেন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি মালান। তবে পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৭ রান।
উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই রানআউটে কাটা পড়েন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২ বলে ২ রান। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে ৫৯ বলে ৭৭ রান করে ফেরেন নাঈম শেখ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। বরিশালের হয়ে জাহানদাদ খান নেন দুটি উইকেট। মোহাম্মদ নবি, রিপন মণ্ডল ও রিশাদ হোসাইন নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ইনিংসের শুরুতেই বল করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তাওহীদ হৃদয়। মিরাজের দ্বিতীয় বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ঠিকমতো খেলতে পারেননি তামিম ইকবাল। বল প্যাডে লাগলে আবেদন করার সাথে সাথেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
পরের বলেই দাউইদ মালানকে ফেরান মিরাজ। আর তাতেই হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। দলীয় ১৬ রানের মাথায় রানআউটে কাটা পড়েন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয় কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। দুজনে মিলে ৪৪ বলে ৪৭ রানের একটা জুটিও গড়েন। দলীয় ৬৩ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৩৬ রান।
মোহাম্মদ নবিও এদিন উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ২ বলে ১ রান করেই সালমান ইরশাদের বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। পাকিস্তানি রিক্রুট ফাহিম আশরাফও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৮ বলে করেছেন মাত্র ৯ রান।
৪৫ বলে ৫০ রান করে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। জিয়াউর রহমানের বলে আমির জামালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। জাহানদাদ ফেরেন ৫ বলে ১০ রান করে।
শেষ পর্যন্ত রিশাদ হোসেনের ১৯ বলে বলে ৩৯ রানের ওপর ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বরিশাল। খুলনার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সালমান ইরশাদ দুটি এবং নাসুম আহমেদ ও জিয়াউর রহমান নেন একটি করে উইকেট।