শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
প্রকাশিত: শনিবার, মে ১০, ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের লঞ্চঘাটে যাত্রা বিরতিতে থাকা একটি পিকনিকের লঞ্চে নারীদের প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টার দিকে নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকের বিষয়টির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ প্রশাসন মো. ফিরোজ কবির নিশ্চিত করেন।
এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
নেহাল আহমেদ জিহাদ বলেন, ‘স্থানীয় ২-৩শ লোকজন তাদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসাবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষজন নারীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলতো। আরও বেশি হেনস্তা করতো। তাছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত ৮টি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি। আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া এ ঘটনার একাধিক ভিডিওতে আরও দেখা যায়, থেমে থাকা লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় উঠে গণহারে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যাত্রীদের পেটাচ্ছেন ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এ সময় তারা লঞ্চের কেবিনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নৌভ্রমণে বের হয়ে আক্রমণের শিকার ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের লঞ্চটিতে পিকনিকের উদ্দেশ্যে আসা অন্তত ৬ জন যাত্রী মারধরে আহত হন। এর মধ্যে দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী। তবে, তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই ঢাকার কামরাঙিরচর এলাকার বাসিন্দা।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার নাস্তা কেনার জন্য ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী লঞ্চ থেকে পল্টুনে নামেন। সেখানে থাকা স্থানীয়রা মাদকসেবী সন্দেহ করে তাদের পিছু নিয়ে লঞ্চে উঠার চেষ্টা করলে লঞ্চের ম্যানেজার মো. শফিক তাদের প্রবেশে বাঁধা দেয়। এতে উত্তেজিত লোকজন জড়ো হয়ে লঞ্চে ঢুকে ভাঙচুর, লুট ও যাত্রীদের মারপিট করেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কমে আসে।