শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

স্কুলের বারান্দায় শিক্ষিকা ও অধ্যক্ষের চুলোচুলির ভিডিও ভাইরাল, অতঃপর…

প্রকাশিত: সোমবার, মে ৫, ২০২৫

কাজ নিয়ে মতানৈক্য, বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চুলোচুলিতে জড়ালেন এক অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকা। ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি স্কুলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি এখন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

সংশ্লিষ্টরা জানায়, সকাল থেকেই অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি লেগেছিল শিক্ষিকার। কিন্তু সেই অশান্তি যে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি দু’জনে। বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষ এবং শিক্ষিকার চুলোচুলির ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।  স্কুল কর্তৃপক্ষ—দু’জনকেই আপাতত বরখাস্ত করেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নাম প্রবীণ দাহিয়া এবং শিক্ষিকার নাম মধুরানি, যিনি বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের দায়িত্বে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সকালেই কোনও কাজের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। ধীরে ধীরে সেই তর্ক বাগবিতণ্ডা পেরিয়ে হাতাহাতিতে পৌঁছায়।

ভিডিও অনুযায়ী, তর্কের মধ্যে অধ্যক্ষ শিক্ষিকাকে চড় মারেন। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মধুরানি রেগে গিয়ে অধ্যক্ষের চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করেন। পাল্টা হাত চালান অধ্যক্ষও। এই সংঘর্ষের সময় দু’জনের মোবাইল ফোন হাত থেকে পড়ে যায় মাটিতে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করে নেন। শনিবার বিকেলে সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা নজরে আসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ভিডিওতে শোনা যায়, শিক্ষিকা বারবার বলতে থাকেন,‌‘তোমার সাহস কী করে হল আমার গায়ে হাত তোলার?’ একটি মহিলা এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন, শিক্ষিকাকে বারবার বলেন, ‘ছেড়ে দিন, ম্যাডামের লেগে যাবে।’ শেষমেশ তার মধ্যস্থতায় হাতাহাতি বন্ধ হয়।

ঘটনার পরে অধ্যক্ষ এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওড়না নিয়ে গলায় জড়িয়ে নেন, যা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিরোধ থেকেই এই অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত।

ইতোমধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দিল্লির উচ্চপদস্থ শিক্ষা কর্তাদের কাছে। বিদ্যালয় চত্বরে এমন ঘটনায় শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।

সূত্র:  আনন্দবাজার পত্রিকা

আরো পড়ুন