রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
প্রকাশিত: বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
ভিসির পদত্যাগের এক দাবিতে কুয়েটে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনশন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
এমতাবস্থায় আজ বুধবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা করেছে কুয়েট প্রশাসন।
সভায় কুয়েটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আজ বিকেল থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার দুই সিদ্ধান্তের পরও ভিসির পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেননি শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ঢাবি, জাবি, রবি, রাবি, খুবিসহ দেশের অধিকাংশ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, ব্লকেড ও অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করা সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘সরকার বরাবরই কুয়েট শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা করেছে, যা শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই প্রতীয়মান হয়।’
এমন প্রেক্ষাপটে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মাদ মাসুদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার? বুধবার (২৩ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সাংবাদিকদের জানায়, শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েটে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন। তার আশ্বাসেও তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন না।
এ অবস্থায় উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু দেখা যাচ্ছে না।’
কবে নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে—এমন প্রশ্নে ওই সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কুয়েটের বিষয়টি অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে।
আমরা সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছি। উপদেষ্টা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। শিক্ষার্থীরা যদি চান তাহলে কুয়েট ভিসি স্বপদে বহাল থাকতে পারেন।’