সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রকাশিত: সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫
৪৩তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটে খুলনা জেলা দলের দ্বিতীয় রাউন্ডের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা ঘিরে জোরালো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পারফর্ম করেও দল থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রথম রাউন্ডের সফল পেসার নোমান শাহরিয়ার। অভিযোগ করেছেন স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগঘন পোস্টে নোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন,
“ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে খুলনা জেলা দলের হয়ে আমি প্রথম রাউন্ডে রোজা রেখে কষ্ট করে খেলেছি। পারফর্ম করেছি। সব খেলা জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে আমি কেন দলে নেই?”
নোমানের দাবি, যারা প্রথম রাউন্ডে একটিও ম্যাচ খেলেননি, এমন খেলোয়াড়কেও দ্বিতীয় রাউন্ডের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন—
“বামহাতি স্পিনারের বদলি যখন স্পিনার হয়, তখন পেস বোলারের রিপ্লেসমেন্ট কেন স্পিনার হয়? এটা কি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল গঠন, নাকি পরিচিতি আর ফোনকলের খেলা?”
পোস্টে আরও অভিযোগ করা হয়, রাজিব নামের এক খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যিনি প্রথম রাউন্ডে একটি ম্যাচও খেলেননি। তার পরিবর্তে ঢাকার প্রিমিয়ার লিগে খেলা এক ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই ‘নিয়মবহির্ভূত’ বলেই মনে করছেন।
নোমানের ভাষায়, “কেউ আমার জন্য কল দিলেও হয়তো আমিও টিমে থাকতাম। যদি পারফরম্যান্সই দেখা হয়, তাহলে স্কোরকার্ডে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে কে কী করেছে। আজকে আমি বলির পাঁঠা হলাম, কাল হয়তো আপনি হবেন। দিনশেষে সব কিছু একই রকম চলবে।”
তার এই পোস্ট ঘিরে খুলনার ক্রীড়া অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় অনেক ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেটপ্রেমীরাও প্রশ্ন তুলেছেন খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিসিএ) দল গঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে।
তবে এ বিষয়ে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোনও কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেননি।