সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রকাশিত: শুক্রবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২৫
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় সকালে জমিতে কাজ করার সময় বাংলাদেশি এক যুবককে মারধর করে তুলে নিয়ে যাবার অভিযোগ ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে ভারতীয় এক কৃষককে ধরে এনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড(বিজিবি) সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক।
শুক্রবার আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্পের দ্বীপনগর গ্রামে ৩২৩ মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর(বিজিবি ও বিএসএফ) সদস্যদের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত।
বিএসএফ সদস্য কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ওই কিশোরের নাম মো. আলামীন। তিনি ধর্মপুর ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের বর্গাচাষি রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
অপরদিকে বিজিবি সদস্যদের হেফাজতে থাকা ভারতীয় নাগরিক হলেন ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুসুমন্ডি থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের ধনুরাম চন্দ্রের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায়(৪৫)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে আল আমিন ৩২৩ নম্বর পিলার থেকে ৩৫০ গজ বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে নিজ জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন। এসময় ছয় জন বিএসএফ সদস্য তাকে মারধর করে। পরে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে দ্বীপনগর গ্রামের কয়েকজন ভারতীয় এক কৃষককে তাঁর জমি থেকে তুলে এনে এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্প সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
বিকেল আনুমানিক চারটায় পরপরই বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচজন বাংলাদেশি কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রবেশ করে। বিএসএফ ধারণা করেছিল সীমান্তের আশেপাশে থাকা কেউ তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। সে সময় আলামিন নামের এক বাংলাদেশি যুবক সীমান্তের খুব কাছাকাছি ছিল। তারা আলামিনকে সহযোগী ভেবে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমাদের পতাকা বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। বিকেল সোয়া চারটায় আলামিনকে তারা ফেরত দিয়েছেন। ভারতীয় নাগরিকের বিষয়ে তিনি বলেন তাঁকেও বিএসএফের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।