রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
প্রকাশিত: শনিবার, জুন ১৪, ২০২৫
বগুড়ায় স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া করতোয়া নদীর ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মো. শাকিল ( ৩২)। তিনি শহরের শিববাট্টি এলাকার মৃত হানিফের ছেলে। শাকিল রিকশাচালক ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক জিতু বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর।
নিহত শাকিলের মামা সিফাত হোসেন বলেন, আমার ভাগ্নে শাকিলের মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো জিতু ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে জিতু বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। এতে শাকিল শনিবার সকালে প্রতিবাদ জানায় এবং জিতুকে একটা থাপ্পড়ও দেয়। পরে সকালেই জিতু ও তার সহযোগীরা শাকিলকে বেধরক মারধর করে। তখন ফুলবাড়ি এলাকা থেকে জিতুদের কাছ থেকে পালিয়ে এসে বাড়িতে অবস্থান করে। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জিতু ছয় থেকে সাতজন মানুষ নিয়ে মোটরসাইকেলে আমার ভাগ্নে শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার এক ঘণ্টা পর জানতে পারি ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় নদীর ধারে শাকিল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, জিতু জেলা কমিটির সহ- সাধারণ সম্পাদক। জিতুর অপরাধের দায় সংগঠন নিবে না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘শাকিল হত্যার ঘটনায় জিতুসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’