শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, জুন ৩, ২০২৫
যশোরে দন্ত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ভুয়া মেজর বেনজির আহমেদকে (৪১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নড়াইল সদরের মির্জাপুর পূর্বপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বেনজির ওই গ্রামের মৃত জামির হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের চেম্বারে চিকিৎসক গ্রহণের জন্য আসেন বেনজির আহমেদ। এ সময় তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেন। বেনজির ওই চিকিৎসককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫/৬ বার হোটেল জাবিরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। নগ্ন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আরও ৩/৪ বার ধর্ষণ করে। এছাড়া বিদেশে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হলে টাকা চাইলেও তালবাহানা করতে থাকে।
এদিকে, ওই চিকিৎসক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বেনজির সেনাবাহিনীর মেজর নন। তিনি মিথ্যা পরিচয়ে একাধিক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া বেনজিরের পেশা।
প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই নারী চিকিৎসক বেনজিরের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, চিকিৎসকের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ভুয়া মেজর বেনজির আহমেদ গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে নড়াইল সদর থানার মির্জাপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন, ৩টি সিম কার্ড, ১টি পাসপোর্ট ও ৪টি চেকের পাতা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি একজন পেশাদার প্রতারক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পর্নোগ্রাফিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বেনজিরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।