শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

প্রসবের সময় নার্সের টানাটানিতে নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: সোমবার, জুন ২, ২০২৫

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে অবস্থিত আল বারাকা হাসপাতালে এক প্রসূতি মায়ের পেট থেকে নবজাতককে বের করার সময় দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে নবজাতক মারা যায়।

পরে তড়িঘড়ি করে একজন চিকিৎসক ডেকে এনে ওই প্রসূতি মায়ের অপারেশন করে পেট থেকে নবজাতকের বাকি অংশ বের করে আনা হয়। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী প্রসূতির নাম সাথী বেগম (৩৮)। স্বামীর নাম মাইনুদ্দীন। কালিগঞ্জ তেলঘাট এলাকায় তাদের বাড়ি।

জানা যায়, ওই দম্পতির ইতোমধ্যে ৩ সন্তান রয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সাথী বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে স্বজনরা নিকটবর্তী কদমতলী মডেল টাউন এলাকায় আল বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে রোগীকে ওটি নিয়ে যান নার্স আমেনা আক্তার ও মিডওয়াইফকারী শাহিনা আক্তার। এ সময় হাসপাতালের দুই আয়াও উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। ওটিতে নেয়ার পর নার্স ও মিটওয়াইফকারী মায়ের পেট থেকে নবজাতককে বের করে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। এ সময় তাদের টানাটানিতে নবজাতকের দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দেহ পেটের ভেতর রয়ে যায়। পরে রাত ১১টার দিকে একজন চিকিৎসককে ডেকে এনে অস্ত্রোপচার করে রোগীর পেট থেকে নবজাতকের দেহ বের করে আনা হয়।

খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতাল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত নার্স ও মিডওয়াইফকারীকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সোমবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত নবজাতকের পিতা মাইনুদ্দীন।

স্থানীয়রা জানান, আল বারাকা হাসপাতালের মালিক রোহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সোলায়মান জামান। ৫ আগস্টের পর তিনি পালিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালটি পরিচালনা করছেন খাইরুল ইসলাম রিপন নামে এক ব্যক্তি। হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি সমঝোতা করার।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু বলেন, প্রসবের সময় এক নবজাতক মারা গেছে। আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন